Unknown Unknown Author
Title: সন্তান বেড়ে উঠুক সুস্থ মন নিয়ে
Author: Unknown
Rating 5 of 5 Des:
সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আসছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে আমরা ত...

সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আসছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে আমরা তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারছি কিনা তা দেখা অনেক বেশী জরুরি।

দিন দিন বদলে যাচ্ছে দায়িত্ব ও পরিবার গঠনের চিত্র। পরিবারের বিভিন্ন চাহিদার যোগান দিতে বাবা-মা দু’জনকেই ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে করে খাওয়া-পড়া তো হচ্ছে ঠিকমতই কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মানসিক বিকাশ। 
তাই এখন থেকেই ভাবতে হবে সুস্থ মন নিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করতে কোন কোন বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
 
সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিনঃ
কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় এসে গল্প করা, খেলা এবং তাদের পড়াশুনা নিয়ে খোঁজখবর নিন। সন্তানের সাথে এমন কিছু মুহূর্ত বের করে নিন যেন সে কোন শর্ত ছাড়াই আপনার সান্নিধ্য ও স্নেহ পায়।
 
মুখে যা বলছেন কাজেও তার প্রকাশ ঘটানঃ
অনেক সময় আমাদের কাজ ও কথার দ্বৈত আচরণে শিশুরা ‍বুঝে উঠতে পারেনা যে কোন আচরণটা উপকারী।
উদাহরণ স্বরূপ: যদি তাদেরকে শেখান যে বড়দের সম্মান করে কথা বলতে হবে তাহলে সে যেন দেখে যে আপনিও আপনার বয়োজ্যষ্ঠ্যকে সম্মান করছেন।
 
সন্তানের সামনে আক্রমণাত্বক আচরণ থেকে বিরত থাকুনঃ
বাবা-মা একে অপরকে দোষ দেয়া , শারীরিক নির্যাতন ও গাল-মন্দ করা সন্তানের জন্য একটি অসুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দেয়। ধীরে ধীরে সন্তানের মনে জমতে থাকে গ্লানি ও ক্ষোভ। সুতরাং চিন্তা করে দেখুন আপনার সন্তানকে গ্লানির ভারি বোঝাটা নিজেই চাপিয়ে দিবেন কিনা।
 
অন্য সন্তানদের সাথে তুলনা বন্ধ করুনঃ
সব মানুষই তার নিজ নিজ চাহিদা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। একেকজন একেক মানসিক ও শারীরিক শক্তির অধিকারী। আরেকটা শিশুর বিকাশ আপনার সন্তানের সাথে না মিলতেই পারে। কিংবা এক সন্তান আপনার অন্য আরেকটি সন্তানের মত নাও হতে পারে। তাই তাদের কে তুলনা না করে প্রত্যেকের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে বেড়ে উঠতে সহযোগীতা করুন।
 
ছোট থাকতেই আচরণ মাজির্ত করার প্রশিক্ষণ দিনঃ
সন্তানের জন্মের প্রথম ৬ মাস এবং পরবর্তী ৬ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মনোবিজ্ঞানীদের মতে এই সময়টাতেই তার ব্যক্তিত্বের গঠন সুনির্দিষ্টভাবে গড়ে ওঠে। তাই তখন থেকেই আপনার প্রতিটা আচরণ, বক্তব্য ও অনুভূতির প্রকাশ তাদেরকে গড়ে তুলে। তাই বলে বয়োঃসন্ধিকালটাকে আবার কম গুরুত্ব দিবেন না। আরেকটি বিষয় এখানে লক্ষ্যণীয় যে শুধুমাত্র বাবা-মা নয়, পরিবারের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ্ ব্যক্তি যে সন্তানের পাশে বেশী সময় থাকছে তাদের আচরণও এক্ষেত্রে প্রভাব তৈরি করে।
 
সন্তানকে দোষারোপ করবেন নাঃ
ভুল হলে বুঝিয়ে বলা দরকার। পাশাপাশি কোন আচরণটা প্রত্যাশিত সেটা বলে দিবেন। মনে রাখবেন সন্তান যদি নিজেকে মানসিকভাবে ছোট মনে করে তবে ভবিষ্যতে তার আত্ম-বিশ্বাস কমে যাবে এবং নেতিবাচক আ্ত্ম-ধারণা তৈরি হবে। ফলে সন্তান হীনমন্যতায় ভোগে, খেলাধুলা করতে চায় না, কারো সাথে মিশতে চায় না।
 
অশান্ত মন নিয়ে সন্তানকে শাসন করবেন নাঃ
যখন আপনি কোন কারণে রেগে আছেন তখন সন্তানের কোন আচরণের জন্য শাসন করা থেকে বিরত থাকুন। ঐ মুহূর্তে আপনার প্রয়োজন সময় নেয়া এবং শান্ত হওয়ার পরে সন্তানের সথে কথা বলা। কারণ উত্তেজিত অবস্থায় অল্পতেই আপনি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া করতে পারেন যা শিশুর মনে ক্ষত তৈরি করতে পারে।

আমরা আমাদের সন্তানের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই তাদের প্রতি আমাদের দাযিত্ব পরিপূর্ণতা পায়। তাই এখন থেকেই একটু একটু করে নিজের অপকারী আচরণগুলো সন্তানের জন্যই আসুন না বদলে ফেলি।

Advertisement

Post a Comment

 
Top