Unknown Unknown Author
Title: স্লিপ প্যারালাইসিস (বোবায় ধরা)
Author: Unknown
Rating 5 of 5 Des:
আপনার কখনো কি এমন হয়েছে? হঠাৎ ঘুম থেকে জেগেছেন.  শুয়ে শুয়েই আপনার রুমের চারপাশ দেখতে পারছেন,  কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছেন না. হাজার চেস্টা স...
আপনার কখনো কি এমন হয়েছে?
হঠাৎ ঘুম থেকে জেগেছেন. শুয়ে শুয়েই আপনার রুমের চারপাশ দেখতে পারছেন, কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছেন না. হাজার চেস্টা স্বত্তেও চোখ ছাড়া শরীরের আর কোন অঙ্গই নাড়াতে পারছেন না, এমনকি কোন চিৎকারও দিতে পারছেন না.

একে স্লিপ প্যারালাইসিস বলা হয়. আন্চলিক ভাবে বোবায় ধরা বলে অনেক সময়

আসুন, একটু জেনে নেই ব্যাপারটা কি ? আর কীভাবেই বা এর সাথে মোকাবেলা করা যায়.

স্বপ্ন দেখার সময় বা ঘুমের সময় অবচেতন মন আমাদের সাথে যে কয়টি কারসাজী করে থাকে তার মধ্যে একটি হল স্লিপ প্যারালাইসিস (Sleep Paralysis), যার ফলে আমাদের পেশী সম্পূর্ণ দুর্বল হয়ে যায় । এর ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে বা প্রায় জাগরণের মুহূর্তে সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে যায় । মানসিক ভাবে জাগ্রত কিন্তু শারীরিকভাবে অসাড়।
এ সময় ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে । এরসাথে দমবন্ধ হয়ে আসা, হার্টবিট কমে যাওয়া ঘরে শত্রু বা খারাপ মানুষের উপস্থিতি, কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে,বুকে বা গলায় চেপে ধরছে এমন অনুভূতি হয়।এটি ঘুমের মধ্যে কিছু করা থেকে আমাদের বিরত রাখে । ঘুমিয়ে গেলে মস্তিষ্ক থেকে পেশীতে সংকেত যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাই আমরা পেশী নাড়াতে পারিনা ।

লক্ষণঃ
স্লিপ প্যারালাইসিসের অনেক লক্ষণ আছে কিন্তু প্রায় সবক্ষেত্রেই নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়।
১. ঘুমের শুরুতে কিংবা জেগে ওঠার সাথে সাথে পেশীতে অসারতা অনুভব করা।
২. শ্রবণ বা দৃশ্য হ্যালুসিনেশন (শত্রু বা খারাপ মানুষের উপস্থিতি, কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে,বুকে বা গলায় চেপে ধরছে, কানে শব্দ শুনতে পাওয়া)।
৩. দমবন্ধ হয়ে আসা, হার্টবিট কমে যাওয়া ।
৪. ভয়, অসহায় বোধ, দ্বিধা ।

করণীয়ঃ
চলুন জেনে নেই স্লিপ প্যারালাইসিস হলে আমাদের কি করা উচিত।
১. শরীরের বিভিন্ন অংশে (জিহ্বা, পায়ের আঙুল) মনোযোগ দিন, দেখবেন নাড়াতে পারবেন, এটা আপনাকে সম্পূর্ণ জেগে উঠতে সাহায্য করবে ।
২. আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় আপনার চোখের নাড়াচাড়ার শক্তি থাকে, চেষ্টা করুন বারবার এতে স্লিপ প্যারালাইসিস থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৩. নিশ্বাস নিতে চেষ্টা করুন, স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় এটা বেশ উপকারী ।

প্রতিকারঃ
এবার দেখা যাক কীভাবে স্লিপ প্যারালাইসিস বন্ধ করা যায়।
১. দীর্ঘক্ষণ ঘুম বঞ্চিত থাকলে স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাই নিয়মিত ঘুমাতে চেষ্টা করুন ।
২. পাশ ফিরে ঘুমাতে চেষ্টা করুন বেশীরভাগ স্লিপ প্যারালাইসিস উপুড় বা চিত হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় হয়ে থাকে ।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন, রোজ জিমে যাওয়ার দরকার নেই বাসায় ব্যায়াম কিংবা সকালে কিছুক্ষণ হাটাহাটি যথেষ্ট ।
৪. স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা কমায়, ঘুমের আগে ভাজাপোড়া খাওয়া পরিহার করুন ।
৫. নিজেকে রিল্যাক্স রাখুন মানসিক চাপ স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে, গান শুনুন, কিংবা ধ্যান করতে পারেন ।
৬. নিশ্চিত হোন কি কারণে স্লিপ প্যারালাইসিস হচ্ছে এবং তা পরিহার করুন যেমন অনেকক্ষেত্রে ঘুমের ঔষধ স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।
৭. যদি ৬ মাস বা তার চেয়ে বেশী সময় ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার স্লিপ প্যারালাইসিস (Sleep Paralysis) হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

Advertisement

Post a Comment

 
Top