Unknown Unknown Author
Title: ঘরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায়
Author: Unknown
Rating 5 of 5 Des:
ঘরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আমাদের করণীয় বাইরে সারাদিন কাজকর্ম করে আমরা ঘরে ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। সেই ঘরের আসবাব থেকে শুরু ...
ঘরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আমাদের করণীয়


বাইরে সারাদিন কাজকর্ম করে আমরা ঘরে ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। সেই ঘরের আসবাব থেকে শুরু করে ডেকোরেশনটাও যেন সুন্দর থাকে সে জন্য আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা। এই যে ঘরে থাকছি, যে মানুষদের পাশে নিয়ে বসবাস করছি তাদের সাথে যদি আমার সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ না হয় তাহলে পুরো সাজসজ্জাটাই কেমন যেন ফিকে হয়ে যায়। এই ঘর শান্তিময় করতে আমাদের কিছু করণীয় থাকে। আসুন জেনে নেই কিভাবে আমরা ঘরের শান্তি বজায় রাখব।

পরিবারের সদস্যরা একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময় করুনঃ
এটা শুনতে কেমন যেন বেখাপ্পা লাগছে তাই না। কিন্তু আমরাও বলতে পারি মা কে জড়িয়ে ধরে যে ’’মা কেমন আছো আজকে’’। কিংবা স্বামী তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে উঠার পর জিজ্ঞেস করতে পারে ’’তোমার কি খবর’’। অথবা সন্তানকে জড়িয়ে জানতে চাইতে পারি ’’আমার বেবিটার মন কেমন আছে’’।

চাহিদা পূরণে ঘাটতি হলে কারণ বিশ্লেষণ করুনঃ
আপনার স্ত্রী এমন আবদার করল যা পূরণ সম্ভব না। ভেবে দেখুন হয়ত এখন সম্ভব না পড়ে কখনও হতে পারে কিংবা আপনার সামর্থ্যের বাইরে। তখন উত্তেজিত না হয়ে কি কারণে পারছেন না বুঝিয়ে বলুন। এবং স্ত্রীরাও স্বামীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। মনোযোগ দেয়া মানে শ্রদ্ধা করা যা সম্পর্ককে মজবুত করে।
একইভাবে সন্তানকেও তার অতিরিক্ত চাহিদা না পূরণের কারণ বুঝিয়ে বলুন। আমাদের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অনেকসময় বয়স বা আনুষঙ্গিক কারণে আমরা সন্তানের সব চাওয়া পূরণ করি না। এটার কারণটাও সন্তানকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মনে রাখবেন সন্তান শুধু পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা করবে বিষয়টা এমন না, পিতা-মাতাকেও সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে।

একে অন্যকে ছোট করে কথা বলবেন নাঃ
অপমানজনক বিভিন্ন কথা (যেমন তুমি কেমন ঘরের মেয়ে বা ছেলে তা আমার জানা আছে, জীবনে তো এত কিছু দেখনি, অন্য বাচ্চারা পারবে তোমার মত গাধা এটা পারবে না ইত্যাদি), গালাগালি করা থেকে বিরত থাকুন। এসকল কথা বা শব্দ যতই ছোট হোক না কেন সম্পর্কের মিষ্টতা নষ্ট করে দেয়।
 
একসাথে মজা করুন ও আনন্দময় মুহূর্ত কাটানঃ
খাবার টেবিলে গল্প করতে করতে খাওয়া, কিংবা খাওয়া-দাওয়া শেষে একসাথে গোল হয়ে বসে কোন খেলাধুলা করা বা হাসাহাসি করুন। পিতা-মাতা সন্তানের সাথে খেলাধুলা করবেন। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সাথে কিছুটা সময় গল্প ও হাসি-ঠাট্টা করে কাটাবেন। এতে বন্ধন আরও দৃঢ় হয় ও ঘর শান্তিপূর্ণ থাকে।
 
একে অন্যের মতামতকে সম্মান করুনঃ
একসাথে বসবাস করলেই যে সব বিষয়ে একমত হতেই হবে এমনটা নয়। প্রত্যেক সদস্যের নিজস্ব মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আরেকজনের মতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো আর মত মেনে নেয়া এক কথা নয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের মতামতকে শ্রদ্ধা রেখেই নিজ মতামত প্রকাশ করার সুযোগ করে নিতে হবে। অনেক সময় স্বামী তার স্ত্রীর উপর অন্যায়ভাবে মতামত চাপিয়ে দিতে চান আর স্ত্রীরাও স্বামীর মতকে শ্রদ্ধা করেন না। এতে করে ঘরে অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়।
 
ছেলে মেয়ে উভয়কে মর্যাদা দিনঃ
বাবা বাড়ির কর্তা তাই সবাই তার কথাকেই মূল্যায়ন করেন অন্যদিকে মায়ের কথাকে গুরুত্ব না দেয়া। এর ফলে বাবা-মায়ের মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় থাকে না, ঘরে অশান্তি তৈরি হয়। সন্তান মেয়ে বলে অতিরিক্ত সুবিধা পাবে আর ছেলে বলে অবহেলা কিংবা তার বিপরীতে ছেলে বলে সুবিধা পাবে এমনটা যেন না হয়। আমাদের সামাজিক অবস্থার জন্য এখনও অনেক পরিবারে মেয়েদের ও ছেলেদের সুবিধা বা মর্যাদার ক্ষেত্রে পার্থক্য করা হয়। এই প্রভাব কাটাতে আমাদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে আগে।
 
আমরা একজন অন্যজনের মত না। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মত। তাই একে অন্যকে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখেই ঘরকে করে তুলতে পারি শান্তিময়।

Advertisement

Post a Comment

 
Top