এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত করন

<div>★নতুন/পুরাতন সবার প্রিয় বাজরিগার এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত করনের প্রয়োজনীয়তা ও করনীয়ঃ</div><div><span style="font-size: 12pt; -webkit-text-size-adjust: 100%;"><br></span></div><div><span style="font-size: 12pt; -webkit-text-size-adjust: 100%;">বাজরিগার পাখি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজেই লালনপালন করা যায় এমন একটি পাখি। অভিজ্ঞ ব্রিডারদের পাশাপাশি নতুনরাও খুব অল্প সময়েই দক্ষতার সাথে বাজরিগার পালন করে সফলতা পেয়েছেন এমন অজস্র উদাহরণ চারপাশে আছে।</span></div><div><span style="font-size: 12pt; -webkit-text-size-adjust: 100%;"><br></span></div><div><span style="font-size: 12pt; -webkit-text-size-adjust: 100%;">ঋতু বৈচিত্রের এই দেশে নতুন বা পুরাতন সকল ব্রিডারকেই পাখি পালনের ক্ষেত্রে বছরের বিভিন্ন সময়েই নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। যার অন্যতম হলো ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া বা নানারকম বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পাখির মৃত্যু। অনেকসময় যা মহামারী আকারে পুরা এভিয়ারী ছড়িয়ে পড়ে পুরা এভিয়ারীতেই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। </span></div><div><br></div><div>এক্ষেত্রে আমাদের একটু সচেতনতা বা একটু বেশি মনোযোগ বা দৃড় ইচ্ছা শক্তিই পারে আমাদের প্রিয় এভিয়ারিকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবিদের আক্রমণ হতে রক্ষা করতে। এজন্য আমাদের এভিয়ারিকে প্রতিনিয়ত জীবানুমুক্ত করন প্রক্রিয়ায় মধ্যে রাখতে পারলেই সেটা আমার/আপনার সকলের প্রিয় পাখিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব। আজ কি কি কারনে বা মাধ্যমে এভিয়ারিতে জীবানু সংক্রমন হতে পারে, কি কি রোগ হতে পারে জীবানু সংক্রমণের কারণে আর এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত করনের উপায় ও কি কি সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন এনিয়ে কথা বলবো।</div><div><br></div><div>★জীবানু সংক্রমণের সম্ভাব্য কারণসমূহ★</div><div>১)নতুন পাখি হতেঃ নতুন/পুরাতন সকল পাখালই দোকান বা অন্য পাখালদের হতে পাখি কিনে বা সংগ্রহ করে থাকেন। যা অনেকসময় ব্যাহ্যিকভাবে দেখতে সুস্থ মনে হলেও অভ্যন্তরীণ জীবাণু বহন করতে পারে।</div><div>২) নোংরা/অপরিষ্কার এভিয়ারিঃ আমাদের অনেকেই পাখির মিউটেশন বা ডিম/বাচ্চা নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী হলেও পাখির ঘরের/এভিয়ারির পরিষ্কার/পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে যথেষ্ট উদাসীন। যা ফলে প্রাণঘাতী জীবানুদেরকে দাওয়াত দেয়ারই সামিল।</div><div>৩) অন্ধকার/স্যাঁতসেতে পরিবেশঃ বদ্ধ বা পর্যাপ্ত আলো চলাচল নেই এমন অন্ধকার/স্যাঁতসেতে পরিবেশ পাখিদের জীবনঘাতি রোগ জীবানুদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠার জন্য যথেষ্ট। </div><div>৪)অপরিষ্কার খাবারের বাটি বা পানির পাত্র হতে জীবানু সংক্রমণ হতে পারে।</div><div>৫) ব্রিডিংয়ের জন্য পুরানো হাড়িকে জীবানুমুক্ত না করে বারবার ব্যবহার। হাড়িতে বাচ্চা থাকাকালীন অবস্থায় তা দিনের পর দিন অপরিষ্কার রাখা।</div><div>৬) অপরিষ্কার খাবার/ পানি ও মেয়াদ উর্তীন্ন বিভিন্ন খাবার/ এগফুড বা বাসায় বানানো এগফুডে দেয়া ডিম ভালোমতো সিদ্ধ না করা।ভালোমতো পানিতে পরিষ্কার না করে শাকসবজি দেয়া।</div><div>৭) পাখির ঘরে বা বারান্দায় নিজেসহ দর্শনার্থীদের অপরিষ্কার অবস্থায় যাওয়া। </div><div>৮) বাড়িতে তেলেপোকা, টিকটকি, ইদুর ছাড়াও ঘরের অন্যান্য পোষা প্রাণী যেমন কুকুর বিড়াল হতে ও প্রানঘাতী জীবানুদের আক্রমণ হতে পারে।</div><div> </div><div>এছাড়া ঋতু পরিবর্তনের ফলে গরম,বর্ষা বা শীতে প্রকৃতিতে ভিন্ন ভিন্ন আচরণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবি ছত্রাকদের আক্রমণে আপনার এভিয়ারিতে পাখির বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।</div><div><br></div><div>★বিভিন্ন ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া/পরজীবিদের দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ ও লক্ষনঃ</div><div>১)মাইটসঃ এটি একটি পরজীবি প্রাণী, যা মূলত তিন প্রকার।ক) ফেদার মাইটসঃ মূলত বড় পাখী হতে বাচ্চারা আক্রান্ত হয় যার ফলে বাচ্চাদের পালক/ লেজ পড়ে যায়। পালকের গোড়াতে রক্ত জমে থাকে। চুলকানি ও এর একটি লক্ষণ।</div><div>খ)স্কেলি মাইটসঃ বয়স্ক পাখিদের এই পরজীবির আক্রমনে পা, ঠোঁট ও মুখে সাদা স্কেলের মতো দেখা যায় যা অনেক সময় শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত করতে পারে। পাখি মারাও যেতে পারে এর ফলে।</div><div>গ) এয়ার স্যাক মাইটসঃ পাখির শ্বাসনালীতে এই ভাইরাসের আক্রমনে শ্বাস কষ্ট ও গলা দিয়ে ঘড়ঘড় শব্দ হয়, লেজ উঠানামা করে। পাখিকে দ্রুতে চিকিৎসা দিতে না পারলে মারা যেতে পারে।</div><div><br></div><div>২)ক্যাঙ্কারঃ Trichomonas columbae এবং Trichomonas gallinae নামক প্রটোজোয়া হতে এই রোগে হয়। যা পাখিদের লালা বা ক্রপমিল্কের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকেও আক্রমণ করতে পারে। এরফলে শ্বাসনালী ও ক্রপে খাবার যাওয়াতে বাধার সৃষ্টি করে। পাখি দ্রুত দুর্বল করে ফেলে ও লিভার অকার্যকর </div><div>হয়ে পাখি বা হাড়ির সব বাচ্চা একে একে মারা যায়।</div><div><br></div><div>৩)কক্সিডিওসিসঃ এক ধরনের প্রটোজোয়া প্যারাসাইটের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে, যা মারাত্মক মহামারি রূপে এভিয়ারিতে ছড়িয়ে পরতে পারে। এটা মূলত পাখি আমাশয় রোগ। এর কারণে পাতলা রক্তযুক্ত পুপ্স হবে যা দেখতে হলদে বা সবুজ ভাব থাকবে। বমি, গা ফুলিয়ে রাখা, অরুচির কারনে পাখি দ্রুত দুর্বল হয়ে মারা যায়।</div><div><br></div><div>৪) সালমোনেলাঃ সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে পাখির পাকিস্থলী/অন্ত্র মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়। যার ফলে পাখি হলদে পুপ্স সহ ভেন্টে পুপ্স লেগে থাকে, পুপ্সের সাথে রক্তও যায়। পাখি গা ফুলিয়ে মাথা পিছনে করে রাখে। খুব অল্প সময়েই এটা অন্য পাখিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাখিকে দ্রুত চিকিৎসা না দিতে পারলে বাঁচানো সম্ভব হয় না।</div><div><br></div><div>৫)সিটাকোসিসঃ ক্লামাইডিয়া সিটাসি নামক ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া হতে এর উদ্ভব যা মানুষের মাঝেও ছডিয়ে পড়তে পারে। দূর্গন্ধযুক্ত আঠালো ধরনের পুপস্ যা ভেন্টের চারপাশে লেগে থাকবে, শ্বাসকষ্ট, ঝিমুনি, সর্বক্ষন লেজ উঠানামা,নাক ও চোখের চারিদিকে ভেজা এ রোগের অন্যতম লক্ষ্মণ ।  ছোয়াচে এই রোগের কারণে প্রতিবছরই অনেক পাখাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।</div><div><br></div><div>৬)ট্রাইকোমোনিয়াসিসঃ খুবই ছোয়াচে এই রোগে এভিয়ারির সব পাখি অল্প সময়েই আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। এটি প্রটোজোয়াজনিত একটি রোগ, তীব্র শ্বাসকষ্ট, লেজ উঠানামা, সবুজ পায়খানা,মুখ দিয়ে লালা, বমি,ঝিমুনি হতে পারে। যা আক্রান্ত বাবা মা হতে বাচ্চাদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।</div><div><br></div><div>এছাড়া ও বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া/ভাইরাস/পরজীবিদের আক্রমনে পাখির সাদা/ চুনা পায়খানা, ডাইরিয়া,লাইস, ক্রিমি,পক্সসহ, অন্ত্রের নানারকম জটিল রোগের অন্যতম কারণ যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আমাদের এভিয়ারিকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। </div><div><br></div><div>★ এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত রাখার উপায় ও করনীয়ঃ</div><div>১) প্রথমত প্রতিদিনই আপনার সব পাখি গতিবিধি নুন্যতম ১৫-৩০ মিনিট মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে হবে। মনে রাখবেন একটি আক্রান্ত পাখি কখনোই সুস্থ পাখির ন্যায় প্রাণচাঞ্চল ও উজ্জীবিত থাকবে না।</div><div>২) পাখির জন্য পরিষ্কার মান সম্মত খাবার ও বিশুদ্ধ  পানি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি খাবার ও পানির পাত্র, ট্রে সবকিছু পরিষ্কার করতে হবে প্রতিদিনই। যদি সেটা সম্ভব না হয়, অন্তত ১ দিন পরপর অবশ্যই ক্লিন করতে হবে।</div><div>৩) শাকসবজি পাখির জন্য খুবই উপকারী, তবে তা দেয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। যারা হোমমেড এগফুড দেন, তারা ডিম ভালোমতো সিদ্ধ করে দিবেন।</div><div>৪) নতুন কেনা পাখিকে এভিয়ারির অন্য পাখির সাথে দেয়ার আগে কোয়ারেন্টাই বা পৃথকভাবে সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে নুন্যতম ১৫ দিন আলাদা রেখে স্বাভাবিক সিডমিক্সের পাশাপাশি ৭ দিন ACV কোর্সে দিতে হবে ও বিশেষ পর্যবেক্ষনে কোনো অসুস্থতা বা দুর্বলতা নেই এমন নিশ্চিত হওয়ার পরই অন্য পাখিদের সাথে রাখা যেতে পারে।</div><div>৫) এভিয়ারিতে রোদের আলো ও স্বাভাবিকভাবে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। তবে পাখির গায়ে সরাসরি বাতাস যেন না লাগে। যারা ঘরের ভিতরে পালে তারা ১/২ দিন পরপর ছাদে বা বাড়ির যেখানে রোদ পরে সেখানে পাখিকে ১৫/২০ মিনিট,রোদে রাখুন। রোদের আলো ব্যাকটেরিয়া/ ভাইরাস বা পরজীবিদের জন্য সাক্ষাৎ যম।</div><div>৬) পাখির হাড়িতে বাচ্চা থাকলে প্রতিদিনই পরিষ্কার করতে পারলে ভালো হয়, অন্তত ১ দিন পরপর পরিষ্কার করুন।আর ১টি হাড়ি ৩/৪ বারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। সেইসাথে প্রতিবার হাড়ি দেয়ার আগে জীবানু নাশক স্প্রে( টিমসেন, কোয়াটোভেট ইত্যাদি) বা আগুনে হাড়ির ভেতর হালকা পুড়িয়ে নেয়া আবশ্যক। </div><div>৭)পাখির ঘরে বা বারান্দায় তেলেপোকা, টিকটিকি, ইদুর নিধন/চলাচল রোধ করা ছাড়া অন্য বিকল্প নেই। পাশাপাশি ঘরের পোষা কুকুর বা বিড়ালও পাখিদের নাগালের বাইরে রাখার চেষ্টা করুন।</div><div>৮) আপনি নিজে বা যেকোনো দর্শনার্থীকে এভিয়ারি প্রবেশের আগে যথাসম্ভব পরিষ্কার/পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতের পাশাপাশি জীবানুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। </div><div>৯) ব্রিডিংয়ে থাকা বা হাড়িতে বেবি আছে এমন পেয়ার ও বাচ্চাদেরকে আলাদাভাবে বিশেষ পর্যবেক্ষন করাটা অতিব জরুরি।  </div><div><br></div><div>প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম দুইভাবেই এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত করার কিছু পরিক্ষিত পন্থা নিয়ে এবার কথা বলবো।</div><div><br></div><div>★প্রাকৃতিক পন্থাঃ</div><div>১)নিমপাতাঃ নিমপাতা মানুষ ও প্রাণীকূল এই দুইয়ের জন্যই বিভিন্ন রোগের নিরামক হিসেবে সবার উপরে অবস্থান। ১০/১২টি নিমপাতা ১৫/২০ মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা হলে তা পাখির খাঁচাসহ পাখির গায়ে স্প্রে করতে পারেন। ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া/পরজীবিদের ধ্বংস করতে এর জুড়ি নাই। প্রতি সপ্তাহে একদিন দিতে পারলে খুবই ভালো। এছাড়া উকুন ও পোকার জন্যও বিশেষ উপকারী।নিমের দ্রবন পাখিকে টানা তিনদিন খেতে দিতে পারলে তা কৃমি ও অভ্যন্তরীণ পরজীবিদের কবল হতে রক্ষা করবে। এছাড়া চুলকানি ও ক্ষত পরিষ্কারে জন্য নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন।</div><div><br></div><div>২)রসুনঃ রসুন পাখির জন্য মহাঔষধ যা পরিমান মতো(নাকে সহ্য হয় এমন, বেশি ঝাঁঝাল না) পানির সাথে ব্লেন্ড করে দ্রবন তৈরি করে নিয়ে পাখিকে দেয়া যেতে পারে। রসুন প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা শ্বাসনালী ও বুকের জীবানু ধ্বংসের পাশাপাশি পাকস্থলী ও অন্ত্রে টনিকের মতো কাজ করে। এছাড়া শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাইটস রোগের জন্য বিশেষ উপকারী। পাখির গায়ে স্প্রে করে উকুন জাতীয় পরজীবিকে ধ্বংস ও ক্ষত স্থানের জন্য খুবই ভালো কাজ করে।</div><div><br></div><div>৩)ACV/আপেল সাইডার ভিনেগার(অপরিশোধিত)ঃ ACV হলো প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা একইসাথে প্রোবায়োটিক ও। পাখির অভ্যন্তরীণ অন্ত্রগুলোকে পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত রাখে। পাখির পেট ও লিভারসহ  বাহ্যিক ক্ষততে বিশেষ উপকারী। ডিমের উর্বরতা, কোষ্টকাঠিন্য,পাখি ওজন ঠিকরাখা ও হাড়ের অস্তিমজ্জ্বা তৈরিতেও এর ভূমিকা অপরিসীম। মাসিক ৫-৭ দিন লিটারে ১০ মিলি সুস্থ পাখির জন্য দেয়া যেতে পারে আর অসুস্থ  পাখিকে ২০ মিলি পর্যন্ত দিলে ভালো হয়।</div><div><br></div><div>৪)এলোভেরাঃ ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ প্রজাতি।বাজরিগার পাখির পরিপাকতন্ত্র সতেজ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে এর দ্রবনযুক্ত পানি বিশেষ উপকারী। পাখির ডায়েরিয়াতে খুবই ভালো কাজ করে, পাশাপাশি এলোভেরা মিশ্রিত পানি স্প্রে করলে পাখির শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিপায়, পাশাপাশি যেকোনো ক্ষতে ব্যবহার করে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।</div><div><br></div><div>টক দইঃ এটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক যা মাসে ৩ দিন লিটারে ২ চা চামচ পরিমাণ ব্যবহারে পাখি অভ্যন্তরীণ পরজীবিদের ধ্বংসে দারুন কাজ করে।এছাড়া পাকস্থলীর জন্য বিশেষ উপকারী। </div><div><br></div><div>★কৃত্তিম পন্থাঃ বাজারে ভেটোনারি দোকান গুলোতে মাইটসের জন্য Acimec/Ivermec 1% সহ anti mites killer স্প্রে পাওয়া যায় যা বিশেষজ্ঞ ভেট এক্সপার্টদের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া জীবানুনাশক স্প্রে টিমসেন, কোয়াটোভেট, ভায়োডিন, ফাম ৩০, টাইকোফেন এভিয়ারিতে ব্যবহার করে আপনার পাখির জন্য হুমকিস্বরূপ ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবিদের নির্মূল করতে পারেন।</div><div><br></div><div>নীচে মাসিক জীবানুনাশক প্রক্রিয়ার একটি চার্ট দেয়া হলো যা পুরানো ও অভিজ্ঞ ব্রিডারদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি। বাজরিগার এভিয়ারির জন্য যা খুবই কার্যকারী।</div><div><br></div><div>১) ১ম সপ্তাহঃ Acimec/Ivermec solution লিটারে ২মিলি পাখিসহ,পাখির সকল খাঁচা ট্রে সহ পুরাএভিয়ারিতে স্প্রে করতে হবে ১দিন।পাশাপাশি ১মিলি প্রতি লিটারে মিশিয়ে পাখিকে খাওয়াতেও হবে। যা ফেদার মাইটসের জীবানুদের ধ্বংস করে।</div><div>২)২য় সপ্তাহঃ ফাম৩০ লিটারে ২মিলি ও টাইকোফন লিটারে ১ মিলি মিশিয়ে পাখিও খাঁচাসহ পুরা এভিয়ারিতে স্প্রে করতে হবে ১দিন।</div><div>৩)৩য় সপ্তাহঃ টিমসেন লিটারে ২ মিলি মিশিয়ে পাখিসহ পুরা এভিয়ারী স্প্রে করতে হবে ১দিন।</div><div>৪)৪থ সপ্তাহঃ কোয়াটিভেট লিটারে ২ মিলি একই নিয়মে পাখিও এভিয়ারিতে স্প্রে করতে হবে ১দিন।</div><div><br></div><div>উপরের চার্টটি হুবাহু ফেলো করতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি অভিজ্ঞ ভেট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী অন্য কোনো জীবানুনাশক স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন বা নুন্যতম একটি স্প্রে অন্তত সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। আর মনে রাখবেন প্রাকৃতিক পন্থাগুলো বিশেষ উপকারী। সুস্থ সবল রোগমুক্ত পাখি জন্য এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত  করা আপনার/আমার নিজেদের স্বার্থেই অতিব জরুরি ভিত্তিতে নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজন, ধন্যবাদ। </div><div><br></div><div>*** বিঃদ্রঃ কিছুদিন পাখি পালার পর আমরা অনেকেই নিজে নিজে ভেট বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠি ও নিজের পাখিকে পরীক্ষাগারের গিনিপিগ বানিয়ে ফেলি,পাশাপাশি অন্যকেও পরামর্শ দেয়া শুরু করে দেই, যা খুবই উদ্বেগজনক। পাখির প্রতিটি রোগের আলাদা উপসর্গ ও অসুখের কম বা বেশি আধিক্য অনুযায়ী ওষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও ভিন্ন মাত্রা বা ভিন্ন ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। যা একমাত্র অভিজ্ঞ ভেট বিশেষজ্ঞরাই সঠিকভাবে নিরুপন করেতে পারেন। প্লিজ পাখির উপর এক্সপিরিমেন্ট করা হতে বিরত থাকুন। </div><div><br></div><div>* লেখাটি গুগলসহ, ফরহাদ ভাই, ডাঃ মান্নান ভাইদের বিভিন্ন লেখার হতে তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংকলিত। </div><div>* ছবি ও অভিজ্ঞতার আলোকে সাহায্য করেছেন Madhu M Samaddar, AZ Tushar, মামুনুর রশিদ রনি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।</div>

এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত করন

★নতুন/পুরাতন সবার প্রিয় বাজরিগার এভিয়ারিকে জীবানুমুক্ত করনের প্রয়োজনীয়তা ও করনীয়ঃ বাজরিগার পাখি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজেই...

Read more »

যে ৫ টি কারণে আপনার কোন বন্ধু নেই

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjyyKOODtsy5k6jrHSvBKuU-PiyITKIHZ7FJzRdZZSChq_M26vNFZ8SanwBnaM1nQC5Ju5DFGvvXd241bdIqbROWhPjD57HJavXD8Qk7vs6FtMogX9a7itXELog-XBzxvh-3NbEtIKuxLf3/s1600/Friends_.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="300" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjyyKOODtsy5k6jrHSvBKuU-PiyITKIHZ7FJzRdZZSChq_M26vNFZ8SanwBnaM1nQC5Ju5DFGvvXd241bdIqbROWhPjD57HJavXD8Qk7vs6FtMogX9a7itXELog-XBzxvh-3NbEtIKuxLf3/s400/Friends_.jpg" width="400" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">“বন্ধু” ছোট্ট এই শব্দটির প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে অনেক। বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক চাহিদাগুলো আছে তার মধ্যে যদি এই বন্ধু শব্দটি যোগ করে দেওয়া হয় তাহলে মনে হয়না খুব একটা অন্যায় হবে। একজন মানুষের জীবনে বন্ধুর কোন বিকল্প হয়না। বন্ধু মানে এমন কেউ যাকে আপনি নিশ্চিন্তে মনের সমস্ত কথা বলতে পারেন। জীবনের সবচেয়ে ভালো কথা থেকে শুরু করে সবচেয়ে খারাপ কথাটিও আপনি আপনার বন্ধুকেই বলতে পারেন।<br /><br />তবে নিজের সব কথা বলতে পারার মতো বন্ধু পাওয়া কিন্তু যেনোতেনো ব্যাপার নয়। বন্ধু পেতে চাইলেও আপনাকে বন্ধু পাওয়ার যোগ্যতা রাখতে হবে। আর এ কারনেই বোধহয় এমন অনেকে আছেন যাদের জীবনে বন্ধুর বড় অভাব।<br /><br />আসুন দেখি কি কি কারণের জন্য আপনার কোন বন্ধু নেই।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>আপনি খুব বেশি আত্মকেন্দ্রিকঃ</u><br />আপনার কোন বন্ধু না থাকার অন্যতম কারণ হতে আপনার খুব বেশি আত্মকেন্দ্রিক স্বভাব। বন্ধু মানেই এমন কিছু যেখানে লুকোচুরি বা আত্মভোলা ব্যাপারটা খুবই ক্ষতিকর। তাই আপনার যদি কেবল নিজেকে নিয়ে মগ্ন থাকার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার ভাগ্যে বন্ধু জোটার সম্ভাবনা কম। নিজেকে নিয়ে সব সময় ব্যস্ত না থেকে আশেপাশের মানুষদের নিয়ে ভাবুন আগ্রহ দেখান বন্ধুর অভাব হবেনা।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>আপনি অন্যদের খোঁচাতে পছন্দ করেনঃ</u>এ জীবনে আপনি কখনই ভালো বন্ধু পাবেন না যদি আপনি অন্যদের খোঁচাতে ভালোবাসেন বা অন্যকে সব সময় কষ্ট দিয়ে কথা বলে থাকেন। একজন মানুষ শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছা এবং নিজের মনমানসিকতার সাথে মিল পেলে অন্য আরেকজন মানুষের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি কেবল মানুষের সাথে এটা সেটা নিয়ে ঝামেলা বাঁধিয়ে থাকেন বা অন্যকে কথা বা কাজের মাধ্যমে কষ্ট দিতে থাকেন তাহলে বন্ধুত্ব কখনোই কারো সাথে হবে না।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>আপনার ব্যক্তিত্বহীনতাঃ</u>আপনি কি খুব বাচাল? কিংবা খুব বেশি অস্থির প্রকৃতির? ভালো করে মাথায় রাখুন বাচালতা বা অস্থিরতা এই দুটোই ব্যক্তিত্বহীন মানুষের লক্ষণ। তাই আপনার যদি এই দুই গুণের কমতি না থাকে তাহলে কারও সাথেই ঠিকঠাক বন্ধু্ত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন না। তাই আগে নিজেকে ঠিক করে অন্য সবার সামনে উপস্থাপন করুন। দেখবেন সবাই আপনার বন্ধুত্ব কামনা করছে।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>আপনার অবাস্তব প্রত্যাশাঃ</u>খুব সহজ করে বলতে গেলে বন্ধুত্বের মানে একে অন্যর ভালো খারাপ সব কিছু শেয়ার করা বা সুখে দুঃখে একজন আরেকজনের পাশে থাকা ইত্যাদি। কিন্তু আপনি বন্ধুত্বর দোহাই দিয়ে যদি কারও কাছে অবাস্তব কিছু আসাহা করে ফেলেন তাহলে আপনার বন্ধু আপনার সাথে সম্পর্ক না রাখতে সামান্য দ্বিধাবোধ করবে না। বন্ধুত্বর বদলে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা বাদ দিন আর দেখুন আপনার আশেপাশে কত বন্ধুর সমাগম ঘটে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>আপনি হিংসুটে স্বভাবেরঃ</u>আপনার হিংসুটে স্বভাব এর জন্য কেউ আপনার বন্ধু হবে না এটাই স্বাভাবিক। বন্ধুত্বতে হিংসের কোন জায়গা নেই। আপনি যদি মনে করেন কেউ শুধুমাত্র আপনাকেই তার বন্ধু বানিয়ে রাখবে আর কাউকে বন্ধু করতে পারবেনা তাহলে এটা আপনার অন্যায় আবদার। বন্ধুদের মধ্যে ঈর্ষা, হিংসা বা বিদ্বেষ থাকে না, যদি আপনি তা করেন তাহলে কেউ আপনার সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চাইবেন না। বন্ধু বন্ধুই, কোনো প্রতিযোগী নন।<br /><br />বন্ধু বানানোর সব থেকে সহজ উপায় হল নিজের ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা। খুঁতখুঁতে স্বভাব বর্জন করুন ও একটু খোলা মানসিকতার হন। জীবনে বন্ধুর অভব হবে না।</span></div>

যে ৫ টি কারণে আপনার কোন বন্ধু নেই

“বন্ধু” ছোট্ট এই শব্দটির প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে অনেক। বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক চাহিদাগুলো আছে তার মধ্যে যদি এই বন্ধু শব্দটি যোগ করে ...

Read more »

সন্তান বেড়ে উঠুক সুস্থ মন নিয়ে

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh40kFR-9b4EkZK_T5b2mApiB6IH2T1bhP8XFd3sDdJhv7uApPtGgVkzvc-xLa8CUsUu_feZlZ_608krCx2Qxe0ljLInJIsZs42pLOsGqQpx5Fhxl7VKjNrFVQcjhnRok01pslfUi8uXf0b/s1600/FatherandChildren.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="300" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh40kFR-9b4EkZK_T5b2mApiB6IH2T1bhP8XFd3sDdJhv7uApPtGgVkzvc-xLa8CUsUu_feZlZ_608krCx2Qxe0ljLInJIsZs42pLOsGqQpx5Fhxl7VKjNrFVQcjhnRok01pslfUi8uXf0b/s400/FatherandChildren.jpg" width="400" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আসছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে আমরা তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারছি কিনা তা দেখা অনেক বেশী জরুরি।<br /><br />দিন দিন বদলে যাচ্ছে দায়িত্ব ও পরিবার গঠনের চিত্র। পরিবারের বিভিন্ন চাহিদার যোগান দিতে বাবা-মা দু’জনকেই ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে করে খাওয়া-পড়া তো হচ্ছে ঠিকমতই কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মানসিক বিকাশ। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">তাই এখন থেকেই ভাবতে হবে সুস্থ মন নিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করতে কোন কোন বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিনঃ</u><br />কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় এসে গল্প করা, খেলা এবং তাদের পড়াশুনা নিয়ে খোঁজখবর নিন। সন্তানের সাথে এমন কিছু মুহূর্ত বের করে নিন যেন সে কোন শর্ত ছাড়াই আপনার সান্নিধ্য ও স্নেহ পায়।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>মুখে যা বলছেন কাজেও তার প্রকাশ ঘটানঃ</u><br />অনেক সময় আমাদের কাজ ও কথার দ্বৈত আচরণে শিশুরা ‍বুঝে উঠতে পারেনা যে কোন আচরণটা উপকারী।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">উদাহরণ স্বরূপ: যদি তাদেরকে শেখান যে বড়দের সম্মান করে কথা বলতে হবে তাহলে সে যেন দেখে যে আপনিও আপনার বয়োজ্যষ্ঠ্যকে সম্মান করছেন।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>সন্তানের সামনে আক্রমণাত্বক আচরণ থেকে বিরত থাকুনঃ </u></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">বাবা-মা একে অপরকে দোষ দেয়া , শারীরিক নির্যাতন ও গাল-মন্দ করা সন্তানের জন্য একটি অসুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দেয়। ধীরে ধীরে সন্তানের মনে জমতে থাকে গ্লানি ও ক্ষোভ। সুতরাং চিন্তা করে দেখুন আপনার সন্তানকে গ্লানির ভারি বোঝাটা নিজেই চাপিয়ে দিবেন কিনা।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>অন্য সন্তানদের সাথে তুলনা বন্ধ করুনঃ</u><br />সব মানুষই তার নিজ নিজ চাহিদা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। একেকজন একেক মানসিক ও শারীরিক শক্তির অধিকারী। আরেকটা শিশুর বিকাশ আপনার সন্তানের সাথে না মিলতেই পারে। কিংবা এক সন্তান আপনার অন্য আরেকটি সন্তানের মত নাও হতে পারে। তাই তাদের কে তুলনা না করে প্রত্যেকের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে বেড়ে উঠতে সহযোগীতা করুন।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>ছোট থাকতেই আচরণ মাজির্ত করার প্রশিক্ষণ দিনঃ</u><br />সন্তানের জন্মের প্রথম ৬ মাস এবং পরবর্তী ৬ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মনোবিজ্ঞানীদের মতে এই সময়টাতেই তার ব্যক্তিত্বের গঠন সুনির্দিষ্টভাবে গড়ে ওঠে। তাই তখন থেকেই আপনার প্রতিটা আচরণ, বক্তব্য ও অনুভূতির প্রকাশ তাদেরকে গড়ে তুলে। তাই বলে বয়োঃসন্ধিকালটাকে আবার কম গুরুত্ব দিবেন না। আরেকটি বিষয় এখানে লক্ষ্যণীয় যে শুধুমাত্র বাবা-মা নয়, পরিবারের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ্ ব্যক্তি যে সন্তানের পাশে বেশী সময় থাকছে তাদের আচরণও এক্ষেত্রে প্রভাব তৈরি করে।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>সন্তানকে দোষারোপ করবেন নাঃ</u><br />ভুল হলে বুঝিয়ে বলা দরকার। পাশাপাশি কোন আচরণটা প্রত্যাশিত সেটা বলে দিবেন। মনে রাখবেন সন্তান যদি নিজেকে মানসিকভাবে ছোট মনে করে তবে ভবিষ্যতে তার আত্ম-বিশ্বাস কমে যাবে এবং নেতিবাচক আ্ত্ম-ধারণা তৈরি হবে। ফলে সন্তান হীনমন্যতায় ভোগে, খেলাধুলা করতে চায় না, কারো সাথে মিশতে চায় না।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>অশান্ত মন নিয়ে সন্তানকে শাসন করবেন নাঃ</u><br />যখন আপনি কোন কারণে রেগে আছেন তখন সন্তানের কোন আচরণের জন্য শাসন করা থেকে বিরত থাকুন। ঐ মুহূর্তে আপনার প্রয়োজন সময় নেয়া এবং শান্ত হওয়ার পরে সন্তানের সথে কথা বলা। কারণ উত্তেজিত অবস্থায় অল্পতেই আপনি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া করতে পারেন যা শিশুর মনে ক্ষত তৈরি করতে পারে।<br /><br />আমরা আমাদের সন্তানের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই তাদের প্রতি আমাদের দাযিত্ব পরিপূর্ণতা পায়। তাই এখন থেকেই একটু একটু করে নিজের অপকারী আচরণগুলো সন্তানের জন্যই আসুন না বদলে ফেলি।</span></div>

সন্তান বেড়ে উঠুক সুস্থ মন নিয়ে

সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আসছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে আমরা ত...

Read more »

চিন্তা যখন দুশ্চিন্তা নিয়ে

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6GX85Y0Lt1Oc7urEmn5q2efTIKaH9OI8gcqSb1c9vgl7XERJNRqDq0aXKGDF_2fyDJ7A2S7N5wsz9j-4DDf148owRWOHvkKYon3uQMKN9EK-hZE_ZJh_tuK-bJKnZHo7mH-5sV5tSWtfG/s1600/anxiety.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="300" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6GX85Y0Lt1Oc7urEmn5q2efTIKaH9OI8gcqSb1c9vgl7XERJNRqDq0aXKGDF_2fyDJ7A2S7N5wsz9j-4DDf148owRWOHvkKYon3uQMKN9EK-hZE_ZJh_tuK-bJKnZHo7mH-5sV5tSWtfG/s400/anxiety.jpg" width="400" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">একটু ভালো করে ভেবে দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের সকল শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মূলে রয়েছে দুশ্চিন্তা নামক ঘুণপোকার প্রত্যক্ষ অবদান। চিন্তা যখন দুশ্চিন্তা করা নিয়ে তখন এর জন্য সঠিক সমাধাণ বের করাটা সত্যি বেশ কষ্টকর। কারণ আমাদের কাছে এমন কোন জাদুকরী কিছু নেই যার ছোঁয়ায় আমরা মুহূর্তেই সকল দুশ্চিন্তা মন থেকে গায়েব করে দিতে পারবো।<br /><br />দুশ্চিন্তা (Anxiety) এমন একটি অনুভূতি যেটা মানুষ না করতে চাইলেও আপনা আপনি মাথায় চলে আসে। তাই বলে ব্যাপারটা এমন নয় যে দুশ্চিন্তা থেকে আমরা কোনভাবেই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবোনা। সামান্য কিছু কৌশল জানা থাকলেই দুশ্চিন্তা নামক এই ব্যাধি থেকে আমরা নিজেদের দূরে রাখতে পারি।<br /><br />আসুন আপনার দুশ্চিন্তা করা নিয়ে চিন্তার সমাধানে কিছু পরামর্শ দেওয়া যাক<br /> </span></div> <ul> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">যখন দুশ্চিন্তা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করে ফেলে একবার নিজে শান্ত হয়ে বসে ভাবুন আপনার দুশ্চিন্তা মূলত কি নিয়ে। একবার যদি দুশ্চিন্তার জুতসই কোন কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হন তাহলে দেখবেন দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে আসবে।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">খুব বেশী দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে ভাবুন যে দুশ্চিন্তা করার ফলে আপনি কি কোন সমাধানে আসতে পারছেন? নাকি আপনার দুশ্চিন্তা করার এই অভ্যাসের কারণে নিজে আরও বেশী হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন? মনে রাখুন দুশ্চিন্তা করা কোন সমস্যার সমাধান নয়। এটা মেনে নিন দেখবেন দুশ্চিন্তা আপনাকে আগ্রাসন করতে পারবে না।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">দুশ্চিন্তা করার আরেকটি অর্থ হল নিজের সময় অপচয় করা। আপনি আপনার জীবনের সমগ্র সময় থেকে যে সময়গুলো শুধুমাত্র দুশ্চিন্তা করে কাটিয়েছেন সেই সময়গুলো কেবল অপচয় হয়েছে মাত্র। এই কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে শিখুন। আপনার এই বিশ্বাস আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। </span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষেরা নিজেদের একা রাখতে পছন্দ করে। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। আপনি যদি কোন ব্যাপারে দুশ্চিন্তার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিজের মধ্যে চেপে না রেখে আপনার বিশ্বস্ত মানুষের সাথে আলোচনা করুন। দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যাবে।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">যে ব্যাপারটা আপনাকে বার বার দুশ্চিন্তা করতে বাধ্য করবে সেটা আপাতত এড়িয়ে যেতে নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। এক কথায় আপনার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন। মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে একটা সময় আপনার দুশ্চিন্তার কারণ তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">যেকোন মানসিক অস্থিরতা (emotional instability) থেকে নিজেকে দূরে রাখতে মেডিটেশন (meditation) এর তুলনা হয়না। যখনই আপনি নিজেকে দুশ্চিন্তার কবলে পড়তে দেখবেন আপনি নিজেকে মেডিটেশনের জন্য প্রস্তুত করতে থাকুন। প্রায় নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাই যে মেডিটেশন আপনাকে সকল চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা করবে।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">শারীরিক কসরত (physical exercise) করার মাধ্যমেও দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। আপনার মন দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে উঠলে সামান্য কিছু ব্যায়াম করুন। দেখবেন দুশ্চিন্তা হতাশা গ্লানি সবটা কেমন কমে আসছে।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">পরিবারের মানুষগুলোর সাথে কিছু ভালো মুহূর্ত কাটাতে পারেন। আপনার সঙ্গীকে নিয়ে কিছু একান্ত সময় উপভোগ করতে পারেন অথবা পরিবারের ছোট সদস্যদের সাথে মেতে উঠতে পারেন হাঁসি আনন্দে। উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা কমাতে এগুলোর বিকল্প হয়না।</span></li> <li><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">দুশ্চিন্তা কমাতে আপনার দুচোখ বন্ধ করে বুক ভরে শ্বাস নিন আর শ্বাস ছাড়ুন। এতে করে আপনার শরীরে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যাবে আর আপনার স্নায়ু শান্ত হয়ে আসবে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আপনার মাংসপেশি শিথিল হয়ে আপনার দুশ্চিন্তাগ্রস্থতা কমে যাবে।</span></li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /></span></div>

চিন্তা যখন দুশ্চিন্তা নিয়ে

একটু ভালো করে ভেবে দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের সকল শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মূলে রয়েছে দুশ্চিন্তা নামক ঘুণপোকার প্রত্যক্ষ অবদান। ...

Read more »

আসুন রাগ নিয়ন্ত্রণ করি

<div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">পৃথিবীতে রাগ হীন মানুষ খোঁজা আর ডাইনোসর খোঁজা সমান কথা। আমরা রেগে যাই মূলত অন্য কারও বলা খারাপ কথাতে, খোঁচা দেওয়া স্বভাবে অথবা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে। রাগ হলে কেউ ভীষণ চেঁচামেচি করি, কেউ জিনিস পত্র ভাংচুর করি, কেউ কান্নাকাটি করি, কেউ বা আবার একদম চুপচাপ হয়ে যাই।<br /><br />রাগের বিপরীতে উপসর্গ যেটাই হোকনা কেন রাগ জিনিসটা কিন্তু একদম ভালো কোন গুন নয়। বরং রাগের দ্বারা অনেক সময় অনেক রকমের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আপনি বা আমি কেউই নিজেকে শতভাগ রাগ হীন মানুষ বলে দাবী করতে পারিনা। আবার রাগের উপর সব সময় নিয়ন্ত্রন রাখতেও পারিনা।<br /><br />রাগ খারাপ না হলেও অতিরিক্ত রাগের অভ্যাস ভীষণ মারাত্মক।তাই রাগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসুন আজ আপনাদের কিছু কার্যকরী পরামর্শ প্রদান করবো। যা দিয়ে হয়তো আপনার ফুঁসে ওঠা রাগের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>১. চুপচাপ থাকুন যতক্ষণ আপনার রাগ না কমেঃ</u><br />আমাদের মধ্যে প্রায় ৯০% মানুষ রাগের সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। যার ফলাফল স্বরূপ দেখা যায় রাগের মাথায় যা নয় তাই ধরণের কথা বার্তা বলে ফেলেন আর পরবর্তীতে আত্মগ্লানিতে ভুগে থাকেন। এই জন্য আপনি যখন অতিরিক্ত রাগের মধ্য দিয়ে যাবেন তখন নিজের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে চুপচাপ থাকুন।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>২. কিছু সময় একা থাকুনঃ</u><br />রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে কিছুটা সময় নিজেকে একদম একা রাখুন। অনেক সময় দেখা যায় কমে আসা রাগ আবার নতুন করে বাড়িয়ে দিচ্ছে আপনার চারপাশের ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা বা আশেপাশের মানুষেরা। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে খানিকটা সময় একা থাকুন।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>৩. নিজের সাথে কথা বলুনঃ</u><br />রাগের বশবর্তী হয়ে অন্যকে যা-তা বলার চেয়ে নিজেকে একটু লোক সমাগম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসুন। এবার নিজের সাথে কথোপকথন শুরু করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন আবার নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিন। দেখবেন রাগ কমে আসতে শুরু করছে।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>৪. গভীর শ্বাস নিনঃ</u><br />নিজেকে সামলে নিতে একটু বিরতি নিন। গভীরভাবে কিছুক্ষণ শ্বাস নিন। আস্তে আস্তে নিজের শরীরের পেশীগুলো আলগা করে দিতে থাকুন। একটা সময় দেখবেন আপনি ঠিক শান্ত হয়ে গেছেন।<br /> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><u>৫. ঠাণ্ডা পানি খানঃ</u><br />খুব বেশী রেগে গেলে তাৎক্ষনিক ভাবে গ্লাস ভর্তি করে ঠাণ্ডা পানি খান। একটু সময় নিয়ে মন শান্ত করে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে বুক ভরে কয়েকবার শ্বাস নিন। দেখবেন মাথা ও মেজাজ ঠাণ্ডা হওয়ার সাথে সাথে আপনার মনও প্রশান্ত হয়ে যাচ্ছে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>৬. শুয়ে পড়ুনঃ</u><br />খুব বেশি রাগ উঠে গেলে আশেপাশে শোয়ার ব্যবস্থা থাকলে শুয়ে পড়ুন। আর আপনি যদি এমন কোন স্থানে থাকেন যেখানে শুয়ে পড়া সম্ভব না, সেখানে বসে পড়ুন। দাঁড়ানো অবস্থা থেকে শুয়ে পড়লে রাগ অনেকটাই কমে যায়। এমনকি অতিরিক্ত রেগে থাকা অবস্থায় বসে পড়লেও রাগ অনেকটাই কমে যায়।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>৭. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুনঃ</u><br />আপনার দেহের সাথে সাথে মাথা ঠাণ্ডা করতে ঠাণ্ডা পানির তুলনা হয়না। যখন আপনি খুব বেশী রেগে যান তখন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে করে রাগের বশে পড়ে কোন অঘটন ঘটানোর সম্ভাবনা একদম চলে যায়।<br /><br />রাগকে নিজের নিয়ন্ত্রণ না দিয়ে বরং নিজে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। এতে আপনার রাগের কদর কমবে না উল্টো বাড়বে।</span></div>

আসুন রাগ নিয়ন্ত্রণ করি

পৃথিবীতে রাগ হীন মানুষ খোঁজা আর ডাইনোসর খোঁজা সমান কথা। আমরা রেগে যাই মূলত অন্য কারও বলা খারাপ কথাতে, খোঁচা দেওয়া স্বভাবে অথবা সম্পূর্ণ ভি...

Read more »

অভিভাবক হিসেবে সন্তানের প্রতি কঠোরতা

<div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">একজন সন্তানের সুন্দর জীবন যাপনের নিশ্চয়তা বিধান করতে বাবা মাকে অনেক বিষয়ে সচেতন নজর রাখতে হয়। সন্তানকে মানুষ করতে গেলে যেমন আদর আর ভালোবাসার প্রয়োজন আছে একইভাবে কিছু কিছু ব্যাপারে কঠিন আর কঠোর হওয়ার প্রয়োজনীয়তাও আছে।<br /><br />কেবল আদর আর ভালোবাসা আপনার সন্তানের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে একজন সচেতন বাবা মা হিসেবে প্রমাণ করতে চাইলে সন্তানের কিছু ব্যাপারে আপনাকে কঠিন নজরদারি রাখতেই হবে।<br /><br />এই ফিচারে এমন ৪ টি বিষয় সম্পর্কে লিখছি যার প্রতি একজন সচেতন বাবা মা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>১. ভদ্রতা শিক্ষাঃ</u><br />ভদ্রতা এমন একটা জিনিস যা জীবনের প্রতি পদে পদে আপনার সন্তানের প্রয়োজন পড়বে। একজন সচেতন পিতামাতা হিসেবে সবার আগে আপনার সন্তানকে ভদ্রতা বা সভ্যতার শিক্ষা দিতে হবে। হ্যাঁ হয়তো আপনার সন্তান এটা আয়ত্ত করতে সময় নেবে কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না। আপনি যদি হাল ছেড়ে দেন তাহলে আগামীতে সন্তানের অভদ্রতা বা অসভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তার সমস্ত দায় আপনারদের কাঁধে এসেই বর্তাবে। তাই শুরু থেকে সন্তানের ভদ্রতা শিক্ষার ব্যাপারে কঠিন নজর রাখুন।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>২. দায়িত্ববোধের শিক্ষাঃ</u><br />মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি ছোট থেকে দায়িত্ববান হওয়ার শিক্ষা লাভ না করে তাহলে বড় হয়ে দায়িত্বশীল হয়ে ওঠার কোন সম্ভাবনা তার নেই। একজন দায়িত্বশীল বাবা-মা হিসেবে আপনার করণীয় হবে ছোট থেকেই অল্প অল্প করে দায়িত্ববোধের শিক্ষা দান করা। এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার সন্তানের উপর মাঝে মধ্যে সামান্য কিছু দায়িত্ব সম্পন্ন কাজ অর্পণ করতে পারেন। এতে করে সে আস্তে আস্তে দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>৩. উদারতার শিক্ষাঃ</u><br />আপনি যদি আপনার সন্তানকে উদারতার শিক্ষা দানে সক্ষম না হন না তাহলে এর ফলাফল স্বরূপ ভবিষ্যতে আপনার সন্তান স্বার্থপর, নির্দয় ও মনুষ্যত্বহীন মানুষে পরিণত হতে বাধ্য। এই উদারতা শিক্ষার ব্যাপারে আপনাকে খুব কঠোর হতে হবে। আপনি খুব সহজে পারিবারিক পরিমণ্ডলে আপনার সন্তানকে উদারতার শিক্ষা দান করতে পারেন। যার শুরুটা নিজের ভাই বোনদের সাথে পারস্পারিক আচার আচরণের মাধ্যমে শিখানো সম্ভব।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /><u>৪. ক্ষমাশীলতার শিক্ষাঃ</u><br />আমরা সবাই জানি একজন মানুষ হিসেবে ক্ষমা করতে শিখাটা কতোটা জরুরী। আপনি আপনার সন্তানের সুষ্ঠু জীবন যাপনের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সবার আগে তাকে ক্ষমাশীল হতে শিক্ষা দিন। আপনার সন্তানের কচি মনে ক্ষমাশীলতার ভালো দিকগুলো যাতে দাগ কাটতে সক্ষম হয় তার জন্য তাকে বিভিন্ন গল্প কাহিনী শোনাতে পারেন। আপনার সন্তান যদি এসব শিক্ষা গ্রহণে অপারগ হয় আপনাকে কিন্তু কঠোরভাবে সবটা সামাল দিতে হবে। আপনি কখনই এই দায়িত্ববোধ থেকে নিজেকে এড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br />বাবা মাকে সন্তানের সুস্বাস্থ্য, মানসিক সুস্বাস্থ্য, চারিত্রিক পরিশীলতা ও শিক্ষা এই সব দিকে নজর রাখতে হয়। যখন শুধু ভালোবাসা বা মায়া মমতা দিয়ে কাজ না হয় তখন পরিস্থিতির খাতিরে আপনাকে একটু কঠোর হতেই হবে। তা না হলে পরবর্তী জীবনে আপার সন্তানের পরাজয় বা গ্লানি সবটার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"></span></div> <div style="text-align: right;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><b><span style="font-size: x-small;">-রুমানা রহমান</span></b></span></div>

অভিভাবক হিসেবে সন্তানের প্রতি কঠোরতা

একজন সন্তানের সুন্দর জীবন যাপনের নিশ্চয়তা বিধান করতে বাবা মাকে অনেক বিষয়ে সচেতন নজর রাখতে হয়। সন্তানকে মানুষ করতে গেলে যেমন আদর আর ভালোব...

Read more »

আপেল শসার সালাদ

<div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><u>উপকরণঃ </u></span></div> <ul style="text-align: justify;"> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">আপেলকুচি দেড় কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ছিলে দানা ফেলে কুচি করে নেওয়া শসা- দেড় কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">লেবুর রস- ১ চা-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">আখরোট বা কাঠবাদামের কুচি- আধা টেবিল-চামচ (ইচ্ছা)। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">পুদিনাপাতা-কুচি ১ টেবিল-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">পানি ঝরানো ঘন টকদই ১ কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">চিনি ৩ টেবিল-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">লবণ আধা চা-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">সাদা গোলমরিচ-গুঁড়া ৮ ভাগের ১ চা-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">কালো গোলমরিচ-গুঁড়া ৮ ভাগের ১ চা-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">দুধ ১ টেবিল-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">বিট লবণ ৮ ভাগের ১ চা-চামচ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">দানা ফেলে নেওয়া কাঁচামরিচ-কুচি আধা চা-চামচ।</span></li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /><u>পদ্ধতিঃ</u></span></div> <ul style="text-align: justify;"> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">দইয়ের বাটিতে চিনি, লবণ, সাদা ও কালো গোলমরিচগুঁড়া, দুধ এবং বিট লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">অন্য একটি বাটিতে একে একে আপেলকুচি, শসাকুচি, কিশমিশ, ও বাদামকুচি ঢেলে নিন।<br />লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মেশান।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">দইয়ের মিশ্রণ আপেল-শসার মিশ্রণে ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ফ্রিজ থেকে বের করে পুদিনা ও কাঁচামরিচ-কুচি মিশিয়ে পরিবেশন করুন।</span><div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: right;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><b><span style="font-size: x-small;">এই রেসিপিটি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী রিফাত আরা রহমান।</span></b></span></div> </li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div>

আপেল শসার সালাদ

উপকরণঃ  আপেলকুচি দেড় কাপ।  ছিলে দানা ফেলে কুচি করে নেওয়া শসা- দেড় কাপ।  লেবুর রস- ১ চা-চামচ।  কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ।  আখরোট বা কাঠবাদ...

Read more »

চিকেন ক্যাশনাট সালাদ

<div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">বাড়ির সবাই অথবা নিজেরও অনেক সময় সেই শসা, গাজর, টমেটোর সালাদ খেতে খেতে বোরিং লাগতেই পারে। শসা,টমেটোর সাথেই যদি আরও কিছু উপাদান যোগ করা যায়, তাহলে খেতে শুধু মজাই হবে না পুষ্টিকর হতে পারে আপনার রেগুলার সালাদ। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব পুষ্টিকর চিকেন ক্যাশনাট সালাদের রেসিপি। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">দেখুন তাহলে কী কী উপকরণ লাগবে আর কীভাবে তৈরি করবেন চিকেন ক্যাশনাট সালাদ। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"></span></div> <div style="text-align: justify;"> <u><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">উপকরণঃ</span></u></div> <ul> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">হাড় ছাড়া মুরগির মাংস চৌক করে কাটা ২ কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">খোসা ছাড়ানো মাঝারি সাইজের চিংড়ি - ১ কাপ।</span> </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">২ টেবিল-চামচ ময়দা। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">৪ টেবিল-চামচ কর্নফ্লাওয়ার। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">১ টেবিল-চামচ আদা ও রসুন বাটা। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">১ টেবিল-চামচ মরিচের গুঁড়া। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">২টি ডিম। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">২ টেবিল-চামচ বাটার। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">আধা কাপ </span><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ক্যাশনাট</span>। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">তেল পরিমাণ মতো। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">চিলি সস, টমেটো সস, সাদা ভিনিগার ১ কাপ করে। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">গোল মরিচের গুঁড়া সামান্য। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">লাল ও সবুজ ক্যাপ্সিকাম জুলিয়ান কাট বা লম্বা কুচি করে কাটা ১ কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">শসা কিউব বা ছোট টুকরা করে কাটা ১ কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">চেরি টমেটো আধা কাপ।</span></li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <u><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></u></div> <div style="text-align: justify;"> <u><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">পদ্ধতিঃ</span></u></div> <ul> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">প্রথমে মুরগির মাংস ও </span><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">চিংড়ির </span></span>সঙ্গে আদা ও রসুন বাটা, ডিম, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, মরিচ-গুঁড়া, লবণ দিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেইট করে রাখুন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">এবার একটি প্যানে তেল গরম করে ক্যাশুনাট বাদামি করে ভেজে তুলে রাখুন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">এই প্যানেই পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মেরিনেইট করা মুরগির মাংস বাদামি করে ভেজে রাখুন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">আরেকটি প্যানে বাটার গলিয়ে সামান্য গোল-মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ক্যাপ্সিকাম হাল্কা ভেজে রেখে দিন। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">এই প্যানেই সস ও ভিনিগার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ভাজা মাংস, </span><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ক্যাশনাট </span>ও ক্যাপ্সিকাম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">তারপর শসা ও টমেটো দিয়ে মিশিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে মনের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।</span></li> </ul> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">সালাদ ফ্রাইড রাইসের সাথে অথবা এমনিও খেতে পারেন।</span><ul> </ul> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: right;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><b><span style="font-size: x-small;">এই রেসিপিটি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী ডা. ফারহানা ইফতেখার </span></b></span></div>

চিকেন ক্যাশনাট সালাদ

বাড়ির সবাই অথবা নিজেরও অনেক সময় সেই শসা, গাজর, টমেটোর সালাদ খেতে খেতে বোরিং লাগতেই পারে। শসা,টমেটোর সাথেই যদি আরও কিছু উপাদান যোগ করা যায়, ...

Read more »

ঘুম ঘুম মধুভাত

<div style="text-align: justify;"> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। বিন্নি-চাল ভিজিয়ে ফার্মেন্টেইশন বা গাজানো হয় সারারাত। তারপর সকালে চিনি, নারিকেল, দুধ ও জ্বালা চাল (জ্বালা-চাল সাধারণত মুদির দোকান কিংবা চালের দোকানে পাওয়া যায়) মিশিয়ে খায়। যার জন্য একটু ঘুম ঘুম লাগে।</span></div> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><u>উপকরণঃ</u></span></div> <ul> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">বিন্নি-চাল ২ কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">জ্বালা-চাল ১/৪ কাপ। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">লবণ সামান্য। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">চিনি স্বাদ মতো। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">তরল দুধ দুতিন কাপ বা পরিমাণ মতো। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">নারিকেল কুড়ানো ১ কাপ।</span></li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><u>পদ্ধতিঃ</u></span></div> <ul> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">বিন্নি-চাল ধুয়ে ১ কাপ বা পরিমাণ মতো পানি ও লবণ দিয়ে রান্না করুন।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">রান্না হলে বিন্নি-চালের ভাতের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ পানি দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে ঢেকে ফার্মেন্টেইশনের জন্য রেখে দিন সারারাত।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">সকালে ভাত অনেকটা ফুলে উঠবে।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">যতটা পাতলা বা ঘন মধুভাত খেতে চান সে অনুয়ায়ী তরল দুধ ও চিনি মিশিয়ে নিন। </span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">সঙ্গে জ্বালা-চাল ধুয়ে হালকা পাটায় আধ ভাঙা করে মধুভাতের সঙ্গে মিশিয়ে নিন আর দিন নারিকেল-কুচি।</span></li> <li><span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ব্যাস মধুভাত তৈরি। </span></li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ঠাণ্ডা করে খেলে এর স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। তাই কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন।</span><br /> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span> <br /> <div style="text-align: right;"> </div> <div style="text-align: right;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><span style="font-size: x-small;"><b>এই রেসিপিটি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী তাসনুভা মাহমুদ নওরিন।</b></span></span></div> </div>

ঘুম ঘুম মধুভাত

এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। বিন্নি-চাল ভিজিয়ে ফার্মেন্টেইশন বা গাজানো হয় সারারাত। তারপর সকালে চিনি, নারিকেল, দুধ ও জ্বালা চাল (...

Read more »